মার্কেটপ্লেসের বাইরে ফ্রিলেন্স ক্যারিয়ার … (পর্ব – ১)

মার্কেটপ্লেসের বাইরে কাজ করা ফ্রিলেন্সারদের জন্য কঠিন কাজ। যখন আমরা একদমই নতুন ভাবে শুরু করতে চাই, তখন আমাদের জন্যে মার্কেটপ্লেসের বাইরে ক্লাইন্ট পাওয়াটা বেশী কঠিন হয়ে পরে। সঠিক ক্লাইন্টের কাছে আমাদের সার্ভিস ডিটেইল পৌঁছে দেয়াটা আমাদের আসল চ্যালেঞ্জ।
তবে সত্যি কথা বলতে এটা তেমন কঠিন কোন কাজ নয়। ক্লাইন্টরা আমাদের খোঁজেই থাকেন। কিন্তু আমাদেরকে ক্লাইন্টের সামনে যাওয়ার জন্যে করতে হবে, সঠিক প্লানিং এবং আমাদের স্কিল সম্পর্কে সঠিক আইডিয়া। তাহলেই আমরা বুঝতে পারবো যে কোন ধরনের ক্লাইন্ট আমরা খুঁজছি।

এই পোষ্টটিতে আমি শেয়ার করবো কিভাবে আমরা মার্কেটপ্লেসের বাইরে আমাদের প্রথম ক্লাইন্ট পেতে পারি,  কিভাবে রেফারেল পেতে পারি এবং  কিছু মার্কেটিং নিয়ে আলোচনা করবো …
আমাদের টার্গেটেড ক্লাইন্ট কারা, সেটা জানাটা আমাদের জন্যে সবচেয়ে বেশী জরুরি।  টার্গেটেড ক্লাইন্ট বের করার পর, আমাদের সার্ভিস সম্পর্কে  ক্লাইন্টকে অবগত করা।
যদি আমরা বুঝতে না পারি আমাদের  টার্গেটেড ক্লাইন্ট কারা হবে, আমাদের সাধারণ ভাবে চিন্তা করতে হবে। আমরা কোন কাজটা করছি এবং  আমরা কি ধরনের ক্লাইন্টের সাথে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবো।  সব ধরনের কাজের ব্যাপারে চিন্তা না করে, শুধু মাত্র আমার একটি কাজের ক্লাইন্ট কারা হতে পারে, সেটা চিন্তা করে আমরা  টার্গেটেড ক্লাইন্ট খুঁজে বের করবো।
আমাদের লক্ষ্য হয়তবা অনেক বড়, কিন্তু বড় কিছু করতে হলে প্রথমেই আমাদের লক্ষ্যকে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে নিতে হবে। এবং আমাদের প্রতিটা ধাপ পার করার জন্যে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা সেট করে নিতে হবে।
– কখন আমরা আমদের ফ্রিলেন্স বিজনেসের মার্কেটিং শুরু করবো?
– আমরা কি প্রথম দিকে  ক্লাইন্টদের কোন অফারের ব্যাবস্তা রাখবো?
– আমারা আমাদের সার্ভিস কবে থেকে দেয়া শুরু করতে পারি?
এই ছোট ছোট প্রশ্ন গুলির উত্তর বের করে নোট করে রাখা।  যখন আমরা নিজেদের বিজনেস প্লেন করবো, চেষ্টা করবো যতটুকু সম্ভব ডিটেইল লিখে রাখতে।  এইগুলি আমাদের জন্যে ক্লাইন্ট ওয়ার্ক, যেমন –
–  ৫টি লোকাল বিজনেস সেন্টারে ইমেইল করা, (ফটোগ্রাফার, প্রিন্টার, ডিজাইনার)
–  ১০টি লোকাল ওয়েবসাইট খুঁজে বের করা, যেগুলি মোবাইল ফ্রেন্ডলি না, এবং তাদেরকে আমাদের সার্ভিস সম্পর্কে জানানো
–  এমন একটি ফার্ম খুঁজে বের করা, যারা আমাদের মত একই সার্ভিস দিয়ে থাকে। তাদের সঙ্গে পরিচিত হওয়া এবং আমরা কিভাবে তাদের কাজে সাহায্য করতে পারবো সেটা জানানো।
এই ধরনের কাজ গুলি আমাদের প্রোডাক্টিভিটিও বাড়িয়ে দেয়।  এভাবে একটার পর একটা কাজ কমপ্লিট করাটা আমাদের কাজ করার গতি এবং শেল্ফকনফিডেন্স আরও বাড়িয়ে দিবে।

আগের কাজ গুলি ঠিক মত করতে পারলে ক্লাইন্ট আমাদের কাছে আসতে থাকবে। কিন্তু কাজ শুরু করার জন্যে আমাদের  সঠিক ওয়ার্ক প্রসেস, মান সম্মত কাজ করা,  পোর্টফলিও এবং ওয়েবসাইটে কিছু কেইস স্টাডি  থাকতে হবে। এইসব কিছু থেকে ক্লাইন্ট আমাদের সার্ভিসের সঠিক তথ্য পাবে।  এই সব ইনফরমেশন সঠিক ভাবে দিতে পারলে, ক্লাইন্ট এবং কাজ পাওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।
এখন সবার প্রথমে আমরা কোথা থেকে শুরু করতে পারি?  যে জায়গা গুলিতে আমরা সহজে পৌঁছাতে পারি, সেখান থেকেই শুরু করা যাক … যেমন – ফ্যামিলি, ফ্রেন্স, আমাদের স্কুল, কলেজ, ইউনিভারসিটি, আমাদের আশেপাশের পরিচিত মানুষজন। তাদেরকে জানাতে হবে আমারা কি ধরনের কাজ করছি, এবং কি ধরনের সেবা আমরা প্রদান করতে পারি। উনারাই হবেন আমার প্রথম রেফারাল। এছাড়াও যারা জানেন আমরা ফ্রিলেন্সিং কাজের সাথে যুক্ত, তাদেরকে আমাদের সার্ভিস সম্পর্কে জানানোটা আমাদের জন্যে জরুরি।
[আরও বিস্তারিত আলোচনা থাকছে টপিকের ২য় পর্বে]
R @ S. Theme images by PLAINVIEW. Powered by Blogger.